মেটা থেকে টয়োটা, জারা থেকে উবার—ঢাকায় আসছেন বিনিয়োগ দুনিয়ার তারকারা

প্রতিবেদক: আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ৫০টি দেশের ৫৫০ জনের বেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেবেন।

বিডা জানিয়েছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বহু বিদেশি বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি নামীদামি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরাও এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন—অস্কার গার্সিয়া মাসেইরাস – বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড জারা-র মূল প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্সের গ্রুপ সিইও। সুলতান আহমেদ বিন সুলাইমান – দুবাইভিত্তিক বন্দর ও লজিস্টিক কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান। ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন – যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য। সাং-জু লি – দক্ষিণ কোরিয়ার টেক জায়ান্ট স্যামসাং-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। কলিন মেলভিল কেনেডি কারি – বিশ্ববিখ্যাত পোশাক ব্র্যান্ড জিওর্ডানো ইন্টারন্যাশনালনের সিইও।

এছাড়াও, এক্সিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট এবং পাকিস্তানের দাউদ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের নির্বাহীরা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।

এ সম্মেলনে মেটা (ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান), উবার, টেলিনর, টয়োটা-সহ আরও বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। তাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলোর মধ্যে যারা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছে— বি-ক্যাপিটাল (যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ সংস্থা)।গোবি পার্টনার্স (মালয়েশিয়া ও হংকংভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল) কনজাংশন ক্যাপিটাল,মার্কোর।

বিডার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) আকর্ষণ করা, দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংযোগ ঘটানো। এতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের বর্তমান বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ, উৎপাদন খাত, রফতানি সম্ভাবনা এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রস্তাবিত বিশেষ সুযোগ-সুবিধাগুলোও তুলে ধরা হবে।

বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সম্মেলন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।