
প্রতিবেদক: মালয়েশিয়ায় উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দাম কমছে। বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেও বিশ্ববাজারে পাম তেলের দাম কমেছে। মালয়েশিয়ায় পাম তেল উৎপাদন বেড়ে মার্চ মাসে মজুদ দাঁড়িয়েছে ১.৫৬ মিলিয়ন টনে, যা গত সাত মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো মজুদ বৃদ্ধির রেকর্ড। ধারণা করা হচ্ছে, এপ্রিল মাসেও মজুদ আরও বাড়বে।
ট্রেডিং ইকোনমিকসের তথ্যমতে, সোমবার বিশ্ববাজারে পাম তেলের দাম ২.৩৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় প্রতি টন ৩,৯৬১ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিটে। এক মাসের ব্যবধানে দাম কমেছে প্রায় ১০.৩৮ শতাংশ। কার্গো জরিপকারীদের তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে মালয়েশিয়ার পাম তেল সরবরাহ আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় ১৪.৮ শতাংশ বেড়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রধান পাম তেল ক্রেতা দেশ হলো চীন ও ভারত। মালয়েশিয়ান পাম ওয়েল কাউন্সিল (এমপিওসি) জানিয়েছে, পাম তেলের দাম বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক হওয়ায় আশা করা হচ্ছে চীন ও ভারত থেকে চাহিদা আরও বাড়বে। ভোজ্য তেলের বাজারে তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় পাম তেল এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি জনপ্রিয়। শুধু এশিয়া নয়, ইউরোপের ক্রেতারাও বিকল্প উৎস হিসেবে কয়েক বছর ধরে পাম তেলের আমদানিতে ঝুঁকেছেন।
বাংলাদেশে মোট পাম তেল আমদানির ৮০ শতাংশের বেশি আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে, বাকিটা মালয়েশিয়া থেকে আসে। যদিও আগে বাংলাদেশের ভোজ্য তেল পরিশোধন ব্যবসায়ীরা বেশি আমদানি করতেন মালয়েশিয়া থেকে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দোনেশিয়ার দিকেই ঝুঁকেছেন। একইভাবে ভারতের মোট পাম তেল আমদানির অর্ধেক এবং পাকিস্তানের আমদানির প্রায় ৮০ শতাংশই আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে।