
প্রতিবেদক: ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করলেও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। বরং সম্প্রতি নেপালে আলু রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে ৭১৪ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে বাংলাবান্ধা হয়ে মোট ৬ হাজার ৯৫১ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হলো দেশটিতে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন পরিদর্শক উজ্জ্বল হোসেন। তিনি জানান, “নেপালের জনগণের কাছে বাংলাদেশের আলু অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাদের চাহিদার ভিত্তিতেই নিয়মিতভাবে আলু রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে। এতে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে, অন্যদিকে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।”
রপ্তানিকৃত আলুগুলোর জাত ‘স্টারিক’ এবং সেগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে দেশের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে। বর্তমানে থিংস টু সাপ্লাই, জাফরান অ্যাগ্রো, ফাস্ট ডেলিভারি, হোসেন এন্টারপ্রাইজ, আমিন ট্রেডার্স, স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ এবং মিয়ামি ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিতভাবে নেপালে আলু রপ্তানি করছে।
আগে যেখানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টন আলু রপ্তানি হতো, এখন তা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ফলে এই খাতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং কৃষক—উভয়ের জন্যই সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।