
প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মানসুর বলেছেন, কোনো দুর্বল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে সরকার প্রয়োজনে সেই ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে। তবে আমানতকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গতকাল (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গভর্নর জানান, সদ্য অনুমোদিত ‘ব্যাংক রেজোল্যুশন অ্যাক্ট’-এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে এখন দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ অধিগ্রহণ এমনকি লিকুইডেশন এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আইনি ক্ষমতা এসেছে।
তিনি বলেন, “ব্যাংক রেজোল্যুশন আইন ইতিমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে—এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা এসেছে। যদি কোনো ব্যাংকে ঘাটতি থাকে, আমরা সেটিকে মার্জ করব, অধিগ্রহণ করব, কিংবা প্রয়োজন হলে লিকুইডেট করব। প্রয়োজনে রাষ্ট্র সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণেও নিতে পারে।”
আমানতকারীদের উদ্দেশে গভর্নর আশ্বস্ত করে বলেন, “ভয়ের কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতকারীদের পাশে রয়েছে। কেউ তাদের সঞ্চিত অর্থ হারাবেন না। আপনারা যে ব্যাংকে টাকা রেখেছেন, সেখানেই রাখুন। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো আমানতকারীদের অর্থ রক্ষা করা।”
সংবাদ সম্মেলনে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তালিকাভুক্ত কিছু ব্যাংক এখনও তাদের আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি, যার প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়েছে। আমরা কেবল নীতিমালা প্রয়োগ করেছি। বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় কিছু ব্যাংক সমস্যায় পড়েছে এবং তারা এক মাস সময় চেয়েছে—আমরা সেই সময় দিচ্ছি।”
ব্যাংক অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, “যদি আমরা কোনো ব্যাংক অধিগ্রহণ করি, তাহলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় নেওয়া হবে।”
দুর্বল ব্যাংকে বিনিয়োগকারী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “এস আলম, সাইফুজ্জামানদের মতো যারা ব্যাংক ধ্বংস করেছে, তাদের জন্য আমাদের করুণা নেই। তারা জেনেশুনেই বিনিয়োগ করেছেন—আমরা তো সেই দায় নেব না।”