
প্রতিবেদক: আগামী ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটে আমদানি পর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) আরোপিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, এই ভ্যাট প্রত্যাহারের ফলে গ্রাহক পর্যায়ে এলএনজির দাম কিছুটা কমতে পারে। এনবিআরের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এর মাধ্যমে শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে কিছুটা স্বস্তি আসবে।
আগামী ২ জুন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজেট ঘোষণা করবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে এই বাজেট উপস্থাপন করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বাজেট ভাষণে এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসতে পারে।
এলএনজি মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে টেক্সটাইল, সিরামিকস ও সিমেন্ট খাতে এলএনজির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সীমিত আকারে গৃহস্থালি এবং পরিবহন খাতেও এলএনজি ব্যবহৃত হয়। দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ায় আমদানিকৃত এলএনজির ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। কাতার, ওমানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ এলএনজি আমদানি করছে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলা এলএনজি আমদানিতে আরোপিত ভ্যাট ও কর প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করেছিল। তারা জানায়, এলএনজি আমদানির সময় প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। আবার গ্রাহকের কাছে বিক্রির সময়ও দিতে হয় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ উৎসে কর। এর বাইরেও, গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলো এলএনজি মার্জিনের বিল পরিশোধের সময় ৫ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখে। এই কর কাঠামোর কারণে পেট্রোবাংলা লোকসানের মুখে পড়ে। উল্লেখ্য, বেসরকারি পর্যায়েও কিছু প্রতিষ্ঠান এলএনজি আমদানি করে।