বিজিএমইএ সেবা-মাশুল কমাল, স্বস্তি পাচ্ছে তৈরি পোশাক খাত

প্রতিবেদক: নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সেবা-মাশুল ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে। সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান খান গতকাল রোববার এক চিঠিতে সদস্যদের উদ্দেশে এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন এই হার ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।

চিঠিতে মাহমুদ হাসান খান বলেন, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক কারখানাগুলো বর্তমানে স্থানীয় ও বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। উচ্চ সুদের হার, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার মতো সমস্যার মাঝেও উদ্যোক্তারা কারখানাগুলো চালু রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই সংগঠনের পক্ষ থেকে দ্রুত সেবা-মাশুল কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ জুন দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি বিজিএমইএর নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বড় সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের আগে সেবা-মাশুল কমানো, সদস্যদের স্বার্থে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাহমুদ হাসান। নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বাধীন ফোরাম ৩৫টি পরিচালক পদের মধ্যে ৩১টি পদে জয়লাভ করে।

২৩ জুন অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় সেবা-মাশুল কমানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে নগদ প্রণোদনা ও ইউডি-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সেবার মাশুল পুনর্নির্ধারণ করা হয়। নতুন হার অনুযায়ী বিকল্প নগদ সহায়তার সনদের ফি ১ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে ০.৩০ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তার সনদের ফি রপ্তানি মূল্যের ওপর ভিত্তি করে ৫০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে। নতুন বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা সনদের মাশুল কমানো হয়েছে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। একইভাবে এসএমই সনদের মাশুল ৫০০ থেকে ১,২৫০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।

ইউডি সংক্রান্ত মাশুলেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। সাধারণ ইউডির ফি ৬৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪৭৫ টাকা এবং জরুরি ইইডির মাশুল ৯৩০ থেকে কমিয়ে ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইউডি সংশোধন ও সার্ভিস চার্জ এবং রপ্তানি অনুমোদন ফি সাধারণ ক্ষেত্রে ৩০০ থেকে কমিয়ে ২২৫ টাকা ও জরুরি ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে কমিয়ে ৩৭৫ টাকা করা হয়েছে।

এই পদক্ষেপের ফলে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা কিছুটা হলেও আর্থিক স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছে বিজিএমইএ।