
প্রতিবেদক: নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অর্থনৈতিক প্রস্তুতি ও গুরুত্বপূর্ণ খাতে সরকারি ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে একাধিক বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অর্থ বরাদ্দে কোনো কার্পণ্য করা হবে না। মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, বৈঠকে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং ব্যবস্থার উন্নয়নে নীতিগত অনুমোদন এবং ডিএপি ও ইউরিয়া সার এবং এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, দেশে সার ব্যবহারের মৌসুম সামনে, এলএনজি সরবরাহ নিশ্চিত হলে সারের উৎপাদন ও সরবরাহ আরও সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন হবে।
এ সময় তিনি বলেন, “আমরা কৃষক ও শিল্পখাতের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো সার সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। এলএনজি সরবরাহ হলে গ্যাসচালিত সার কারখানাগুলো পুরো সক্ষমতা নিয়ে উৎপাদনে যেতে পারবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)–কে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন, সেটাই চূড়ান্ত। এর বাইরে কোনো প্রজ্ঞাপন নেই। কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি কেবল সরকারি আদেশ জারি করেছি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাম্প্রতিক স্থবিরতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, “বন্দর পুরোপুরি অচল ছিল না। কিছু পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে, এবং যেসব পণ্য প্রবেশ করেছে, সেগুলোর জাহাজীকরণ এখন শুরু হবে। যদিও ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি, তবুও তিনি আশাবাদী যে ক্ষতি খুব বেশি হয়নি।
সব মিলিয়ে, বৈঠকে দেশের নির্বাচন, খাদ্য নিরাপত্তা, আমদানি-রপ্তানি, সার উৎপাদন, জ্বালানি সরবরাহ এবং রাজস্ব কার্যক্রম সচল রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা স্পষ্ট—অর্থনীতিকে গতিশীল রাখা এবং নির্বাচন পরিচালনায় কোনো ব্যত্যয় হবে না।