ডিএসইর পর্ষদ কাঠামোয় পরিবর্তন চায় ব্রোকাররা

প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পর্ষদ কাঠামোর পুনর্গঠন ও ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের পুনর্মূল্যায়ন চেয়েছে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। সম্প্রতি সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর কাছে পাঠানো হয়। চিঠির অনুলিপি বিএসইসি চেয়ারম্যান ও ডিএসই চেয়ারম্যানকেও প্রদান করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসইর পর্ষদ গঠনে ভারসাম্যহীনতার কারণে অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় পর্ষদ চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের নজির রয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকে উত্তরণের জন্য ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের ধারা ৪.১(বি)(আই)-এর সংশোধন চাওয়া হয়েছে।

ডিবিএ প্রস্তাব করেছে, ডিএসইর পর্ষদের সদস্য সংখ্যা ১৩ থেকে কমিয়ে ১১ করা হোক এবং স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা ৭ থেকে কমিয়ে ৫-এ নামিয়ে আনা হোক। এছাড়া, চেয়ারম্যানের পদটি এক্স-অফিসিও বাদে সব পরিচালকের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে এবং পর্ষদ গঠনের পর প্রথম সভায় ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হোক। এতে স্বচ্ছতা ও ভারসাম্য নিশ্চিত হবে বলে মনে করে ডিবিএ।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে সিআরও (চিফ রেগুলেটরি অফিসার) সরাসরি এমডিকে রিপোর্ট করেন না, ফলে এমডি রেগুলেটরি কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যাপ্ত অবগত হন না। এটি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দূরত্ব ও আস্থার সংকট তৈরি করে। এ প্রেক্ষাপটে এমডিকে সিআরওর রিপোর্টিং কর্তৃপক্ষ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে রেগুলেটরি কার্যক্রমে সিআরওর স্বাধীনতা রক্ষা করতে তিনি আগের মতোই ডিএসই রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটিকে রিপোর্ট করবেন।

সবশেষে, ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম থেকে ডিএসইর সাংগঠনিক অর্গানোগ্রাম সংশ্লিষ্ট ধারা রহিত করার সুপারিশ করেছে ডিবিএ। তাদের যুক্তি—প্রয়োজনীয় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে অর্গানোগ্রাম সংশোধনের পূর্ণ ক্ষমতা ডিএসই বোর্ডের হাতে থাকা উচিত।