
প্রতিবেদক: ভারত আবারও বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অশুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটপণ্য এখন থেকে ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। কেবল মুম্বাইয়ের নভসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এসব পণ্য পাঠানো যাবে। সোমবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালক (ডিজিএফটি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করেছে।
১. পাট ও পাটজাতীয় কাপড়
২. পাটের দড়ি বা রশি
৩. পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি
4. পাটের বস্তা বা ব্যাগ
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে এই ধরনের পাটপণ্যের মাত্র ১% সমুদ্রপথে রপ্তানি হয়, বাকিটা স্থলপথে যায়। ফলে এই সিদ্ধান্তে মূলত রপ্তানির সহজ পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস প্রামাণিক বলেন, “এ যেন একে একে নিভিছে দেউটি। ভারতের এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক।” তিনি সরকারের প্রতি দ্বিপক্ষীয় আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং বিকল্প বাজার খোঁজার পরামর্শ দেন।
এর আগে ২৭ জুন ভারত স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা পাট, পাটের রোল, সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নতুন নিষেধাজ্ঞায় চারটি পণ্য যুক্ত হলো।
এ ছাড়া ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা, ফল, কোমল পানীয়সহ আরও কয়েকটি পণ্যের আমদানি বন্ধ করে। তার আগে ৯ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুযোগও বাতিল করেছিল ভারত।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতকে ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৩.৭৫%। অন্যদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশ ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে, যার বড় অংশ শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য। বাংলাদেশ ভারতীয় ভোগ্যপণ্যের বড় বাজার।