
প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা শুল্ক কার্যকরের পর খুচরা বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়াতে নতুন ট্যাগ ব্যবহার শুরু করেছে। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো যেমন ওয়ালমার্ট, টার্গেট, ও নাইকি ইতোমধ্যে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বাড়তি মূল্য দেখে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী মার্সেডিজ চ্যান্ডলার ওয়ালমার্টের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি তৈরি পোশাক, ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্যের পুরোনো ও নতুন দামের ট্যাগ তুলনা করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, অনেক পণ্যের ট্যাগ বদলে নতুন দাম বসানো হয়েছে। যেমন একটি পোশাকের দাম ১০.৮৯ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১১.৯৮ ডলার করা হয়েছে। শিশুদের একটি পোশাকের দাম ৬.৮৯ থেকে বেড়ে ১০.৯৮ ডলারে উঠে গেছে। একটি ব্যাকপ্যাকের দামও ১৯.৯৭ থেকে বেড়ে ২৪.৯৭ ডলার হয়েছে। চ্যান্ডলার ক্রেতাদের ওয়ালমার্ট বা টার্গেটের দোকানে গিয়ে নিজে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
৭ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার পণ্যে ১৯ শতাংশ, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের পণ্যে ২০ শতাংশ এবং ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে আগস্টের শেষে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। প্রথম পাল্টা শুল্ক ২ এপ্রিল ঘোষণা করেন ট্রাম্প, তবে কার্যকর হওয়ার সময়সীমা ৯ এপ্রিল থেকে ৯০ দিন পিছিয়ে দেয়া হয়। এর আগেও ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর ছিল।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ল্যাবের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে, যার মতে চামড়ার জুতা ও ব্যাগের দাম শুল্কের কারণে ৩৯ শতাংশ এবং পোশাকের দাম ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। খাবারের দাম ৩ শতাংশ, তাজা ফলমূল ৭ শতাংশ এবং গাড়ির দাম ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়ালমার্ট শিশুদের পণ্য, রান্নাঘরের সামগ্রী ও খেলনার দাম বৃদ্ধি করেছে। নাইকি কিছু জুতার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলও আগস্ট থেকে কিছু পণ্যের দাম ২.৫ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, শুধুমাত্র শুল্কজনিত খরচ মেটাতে এই বছর তারা প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করবে।