
প্রতিবেদক: চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১২ দিনে (১–১২ আগস্ট) প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৭২ কোটি ১০ লাখ ডলার। ফলে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ।
ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন অর্থবছরের শুরুটা ইতিবাচক। জুলাই মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছিল ২৯ শতাংশ, যেখানে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২৪৭ কোটি ডলার। এর বিপরীতে গত বছরের জুলাইয়ে আয় ছিল ১৯১ কোটি ডলার।
তাদের মতে, অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোর বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্সে নানা প্রণোদনা আয়ের এ প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে এবং মুদ্রাবাজারে ডলারের চাপ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিদেশি দেনা পরিশোধ হয়ে যাওয়ায় এবং লেনদেনের ভারসাম্যে উন্নতি হওয়ায় ডলার বাজার স্থিতিশীল হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলোর আস্থাও ফিরে এসেছে।
সদ্যবিদায়ী ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বিদেশ থেকে রেকর্ড ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার বা ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
এই প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক প্রভাব রিজার্ভেও পড়েছে। ১০ আগস্ট পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে (আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার)।