প্রতিবেদক: টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় মরিচের উৎপাদন কমে গেছে। ফলে রাজধানীর বাজারে কাঁচা মরিচের দামে লেগেছে আগুন। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
রোববার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। বিমানবন্দরের পাশে হজ ক্যাম্প বাজারে ২৫০ গ্রাম মরিচ কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৮০ টাকার বেশি। এ নিয়ে ক্রেতা–বিক্রেতার মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার ঘটনাও ঘটেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মরিচের ধরন ও বাজারভেদে দামে ভিন্নতা রয়েছে। পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি দাম ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা, যা কয়েক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। রাজধানীর খুচরা বাজারে বর্তমানে ২৫০ গ্রাম মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। পাড়া–মহল্লার দোকান বা ভ্যানে আসা বিক্রেতাদের কাছে দাম আরও বেশি।
তবে কারওয়ান বাজারে আজ থেকে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আড়তদার করম আলী জানান, গত সপ্তাহে পাইকারি দামে কেজিপ্রতি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় মরিচ বিক্রি হলেও এখন দেশীয় মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে আগামীকাল থেকে দাম কিছুটা কমতে পারে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, “আমরা কারওয়ান বাজার থেকে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনেছি। পরিবহনসহ খরচ যোগ করে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি করছি।” টাউন হল বাজারের বিক্রেতা নুরুজ্জামান বাবু জানান, “বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া ও রংপুরে মরিচের ফলন ভালো হয়। কিন্তু এবার অতিবৃষ্টিতে ফলন নষ্ট হয়েছে, তাই সরবরাহও কম।”
সব মিলিয়ে সরবরাহ সংকট ও পাইকারি বাজারে দামের চাপের কারণে রাজধানীর খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ বেড়ে গেছে।
