
প্রতিবেদক: মার্কিন পাল্টা শুল্কের বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করলে আরও কার্যকর সমাধান বের করা সম্ভব হতো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
শনিবার সকালে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ব্রেইন আয়োজিত ‘ট্রাম্প ট্যারিফ–পরবর্তী বিশ্ববাণিজ্য ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, “বাজেট প্রণয়নের আগেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা যেত। তাহলে সংস্কার–সংক্রান্ত বিষয়গুলো সামনে আসত। আরএলডিসি উত্তরণ বিষয়ে সরকারের একটি স্পষ্ট অবস্থানও থাকা উচিত।”
অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অভিযোগ করেন, মার্কিন পাল্টা শুল্ককে ঘিরে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা’ হয়েছে। তিনি বলেন, “অনেক বুদ্ধিমান মানুষও এতে যুক্ত ছিলেন। গোলটেবিল বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে নানা কথা বলা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উভয়ের জন্য লাভজনক চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছি।”
শফিকুল আলম আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই শুল্ক। এ বিষয়ে বিডাতে একাধিক দফায় আলোচনা হয়েছে এবং আমরা নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করেছি। অনেকে নন-ডিসক্লোজার চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করেছেন, অথচ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনায় এসব সাধারণ ঘটনা। ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যমও বোয়িংয়ের সঙ্গে ৫০টি বিমান ক্রয় নিয়ে কিছু বলেনি; কিন্তু আমাদের দেশে অতিরঞ্জন করা হয়েছে।”
বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা না বাড়াতে পারলে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে না। আমরা বন্দরকে সিঙ্গাপুরের পর্যায়ে নিতে চাই। কিন্তু বিদেশি অপারেটর নিয়ে সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন তুলে অযথা বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যেন দেশটিকে বনসাই বানিয়ে রাখতে চাওয়া হচ্ছে। আগে বিডাতে এক দরজায় সেবা ছিল না, এখন আমরা প্রকৃত অর্থেই এক দরজায় সেবা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।”
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী ইস্রাফিল খসরু, অর্থনীতিবিদ জ্যোতি রহমান, জিয়া আহসান ও ব্রেইনের নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের পরিচালক রুবাইয়াত সারোয়ার।