এলডিসি উত্তরণ পেছানোর কোনো যুক্তি নেই: বিশেষজ্ঞদের মত

প্রতিবেদক: এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রভাবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারসুবিধা উঠে যাওয়ার আপাতত কোনো সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে একাধিকবার পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। এমনকি ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামকে (ইআরএফ) একটি সেমিনারের আয়োজন করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে বিষয়টি খোলাখুলিভাবে আলোচিত হয়।

ব্যবসায়ীরা গ্যাস–বিদ্যুতের সংকট, পণ্যজট ও পরিবহন সমস্যার কথা তুলছেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এলডিসি উত্তরণ পিছিয়ে দিলে কি এসব সমস্যা সমাধান হবে? উত্তরণ বিলম্বিত করার জন্য ব্যবসায়ীরা আসলে একটি গ্রহণযোগ্য কারণও দেখাতে পারবেন না। সাংবাদিকদের উচিত হবে তৈরি পোশাক, নিট পোশাক ও জুতাশিল্পের ব্যবসায়ীদের সরাসরি জিজ্ঞাসা করা—কেন তাঁরা এলডিসি উত্তরণে আপত্তি জানাচ্ছেন।

এলডিসি থেকে উত্তরণের পরপরই বাণিজ্যসুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে না। ইইউ ২০২৯ সাল পর্যন্ত বর্তমান সুবিধা অব্যাহত রাখবে। ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও চীন বাণিজ্যসুবিধা চালু রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের বিধান অনুযায়ী, এলডিসি উত্তরণ আমাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতা। এটি পিছিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি সুযোগ থেকেও থাকে, তা গ্রহণ করা সমীচীন হবে না। এখন সামনে আসন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হবে। ঝড় আসছে—তাকে এড়িয়ে মুখ গুঁজে থাকার সুযোগ নেই।