আগস্টে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ৪.৭৫%

প্রতিবেদক: আগস্টে এক মাসের ব্যবধানে আবারও তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। এর প্রভাবে দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসে মোট রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে বাংলাদেশ থেকে ৩৯২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের আগস্টের ৪০৩ কোটি ডলারের তুলনায় কম। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩১৭ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম।

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এ ধরনের ওঠানামা নতুন নয়। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রপ্তানি কমেছিল প্রায় ৬ শতাংশ। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল সাড়ে ২৪ শতাংশ। কিন্তু আগস্টে আবার রপ্তানি কমে যায়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মোট ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭১৩ কোটি ডলারের, প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

রপ্তানিকারকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক নিয়ে দীর্ঘদিন দর-কষাকষি চলায় মার্কিন ক্রয়াদেশ কিছুটা কম এসেছিল। ফলে আগস্টে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যায়। তবে শুল্কহার চূড়ান্ত হওয়ায় সেপ্টেম্বরে নতুন ক্রয়াদেশ পাওয়ার আশা করছেন তারা।

ইপিবির তথ্য বলছে, আগস্টে তৈরি পোশাক ছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, চামড়াবিহীন জুতা ও আসবাবের রপ্তানি কমেছে। অন্যদিকে হোম টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।

শীর্ষ রপ্তানি খাতগুলোর মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য দুই মাসে ২৩ কোটি ডলার আয় করেছে, যা ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি; তবে আগস্টে রপ্তানি কমেছে দেড় শতাংশ। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি দুই মাসে ১৭ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ; তবে আগস্টে কমেছে ৪ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ডলার, যা ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।