স্মার্ট কার্ড ব্যবহারেই খরচে মিলবে বাড়তি ছাড়

প্রতিবেদক: এ দেশে এখনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডকে শুধু খরচের মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু একটু পরিকল্পনা করলে এগুলো ব্যবহার করে টাকা বাঁচানো সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন বুদ্ধিদীপ্ত আর্থিক সিদ্ধান্ত। শুধু খরচের জন্য নয়, বরং পুরস্কার, ক্যাশব্যাক ও বিভিন্ন সুবিধা পেতে কার্ড ব্যবহার করা উচিত। বর্তমানে ভিসা, মাস্টারকার্ডসহ নানা ধরনের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে কার্ড ব্যবহার করে সঞ্চয় করা যায়।

প্রথমত, মোবাইল রিচার্জে অনেক ব্যাংক ক্যাশব্যাক সুবিধা দেয়। বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে কার্ড দিয়ে রিচার্জ করলে সরাসরি লাভ পাওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, সুপারশপে নির্দিষ্ট দিনে ছাড় থাকে। যেমন আগোরা, স্বপ্ন বা মীনাবাজারে শুক্রবারে ৫% ছাড় মেলে। কার্ড ব্যবহার করে সেই সুবিধা নেওয়া যায়। তৃতীয়ত, রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময়ও ছাড় পাওয়া যায়। বড় শহরের নামীদামি রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে পাঁচতারা হোটেলেও বিভিন্ন অফার থাকে—যেমন ১০-১২% ছাড় কিংবা ‘বাই ওয়ান, গেট টু’।

এছাড়া ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে কার্ড ব্যবহারেও বিশেষ ছাড় মেলে। দারাজ বা পিকাবোতে কেনাকাটার আগে কোন কার্ডে কতটা ছাড় আছে দেখে নিলে খরচ বাঁচে। বড় কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডে সুদবিহীন ইএমআই সুবিধা পাওয়া যায়, যা ফ্রিজ, টিভি, মোবাইল বা আসবাব কেনার সময় উপকারী। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এয়ারলাইনের টিকিটে ছাড় কিংবা ইএমআই অফারও রয়েছে। একইভাবে দেশ-বিদেশের হোটেল ও রিসোর্টে ৪০-৬০% পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়, বিশেষ করে অফ সিজনে।

শুধু তাই নয়, বার্ষিক মাশুলও অনেক সময় মওকুফ করা যায় যদি বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচ করা হয়। এতে অতিরিক্ত টাকা বাঁচে। চিকিৎসার খরচ কমাতে হাসপাতাল বিল পরিশোধেও কার্ডে ছাড় পাওয়া যায়। যেমন স্কয়ার, ল্যাবএইড বা ইউনাইটেড হাসপাতাল এসব সুবিধা দিয়ে থাকে। আর উৎসব-পার্বণে বিশেষ অফার তো রয়েছেই—ঈদ, পূজা বা নববর্ষে প্রায় সব ব্যাংকই শপিং ও ভ্রমণে ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক অফার দেয়।

অতএব, শুধু খরচ নয়, সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড হয়ে উঠতে পারে সঞ্চয়ের কার্যকর মাধ্যম।