প্রতিবেদক: শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
চলতি বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে মোট ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ-সংক্রান্ত আদেশ গত ৮ সেপ্টেম্বর জারি করা হয়। তবে গত বছর প্রথমে ৩ হাজার টনের অনুমতি দেওয়া হলেও পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টনে আনা হয়েছিল। সেই তুলনায় এবার প্রায় অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে হবে। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ প্রতিটি চালান যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং প্রয়োজনে সরকার যেকোনো সময় রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে খুলনার রয়েছে আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স। চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান হলো জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস। যশোরের প্রতিষ্ঠান হলো লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ।
ঢাকার প্রতিষ্ঠান হলো ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন। বরিশালের রয়েছে মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ। পাবনার প্রতিষ্ঠান হলো নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস।
ভোলার প্রতিষ্ঠান হলো রাফিদ এন্টারপ্রাইজ। সাতক্ষীরার প্রতিষ্ঠান দুটি হলো মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।
