চট্টগ্রাম বন্দরে হালকা যানবাহনের ফি বেড়ে ১১৫ টাকা

প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা আরও তীব্রতর হয়েছে। কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট কর্মীরা আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের এই কর্মবিরতি বন্দরে প্রবেশ ও লাইসেন্স ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিকে, পরিবহন অপারেটরদের ধর্মঘটও দ্বিতীয় দিনে গড়ে উঠেছে। টানা দুই দিন ধরে বন্দরে পণ্যবাহী যানবাহনের চলাচল বন্ধ থাকায় কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যবসার প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যক্রম এই বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আজ দুপুর ১২টায় বিভিন্ন পরিবহন মালিক, শ্রমিক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সমিতির নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। তারা আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের ছাড়পত্রের জন্য ডকুমেন্টেশনের কাজ করেন এবং সাধারণত বন্দরে হালকা যানবাহন ব্যবহার করে প্রবেশ করেন। বন্দরে মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশার মতো হালকা যানবাহনের প্রবেশ ফি আগের ২০ টাকা থেকে বেড়ে ১১৫ টাকা করা হয়েছে, যা প্রায় ৪৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি।

চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, সিঅ্যান্ডএফ কর্মীরা সাধারণত কম বেতন পান এবং দিনে কয়েকবার বন্দরে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশ ফি বৃদ্ধির কারণে তাদের দৈনন্দিন ব্যয় বেড়ে গেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে, তাহলে কর্মীরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

চট্টগ্রাম বন্দরে গত ১৫ অক্টোবর থেকে সব ধরনের যানবাহন ও ব্যক্তির জন্য প্রবেশ ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ কর্মীদের জন্য লাইসেন্স ফিও বাড়ানো হয়েছে।